ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৭ চেকপোস্টে সতর্কতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা কক্সাবাজার থেকে দেশের কোথাও যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য চট্টগ্রামে ২৭ চেকপোস্টে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।

শনিবার চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এই মতবিনিমিয় সভা করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে দুই ডজনের বেশি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে হামলার পর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ধরার নাম করে সেনাবাহিনী সেখানে ধারাবাহিক হামলা-নির্যাতন অগ্নিসংযোগ শুরু করে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাজার হাজার রোহিঙ্গার ঢল নামে বাংলাদেশ মুখে। ইতোমধ্যে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

শরণার্থী শিবিরের আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুন্ড এলাকায় রোহিঙ্গাদের আটক করে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে চেকপোস্টগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেন, কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তা ঠেকাতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পুলিশের মোট ২৭টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।

সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবান থেকে পাহাড়ি ও সড়কপথে নানা কৌশলে চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে যাতে কোনভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কঠোর অবস্থান ও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ডিআইজি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অবস্থাতেই দেশের মূল ভূ-খন্ডে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তাদের যাতে ক্যাম্পেই সীমিত রাখা যায়; সে বিষয়ে পুলিশসহ প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।’

উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের মুখে গত তিন সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে করেছে সরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৭ চেকপোস্টে সতর্কতা

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা কক্সাবাজার থেকে দেশের কোথাও যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য চট্টগ্রামে ২৭ চেকপোস্টে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।

শনিবার চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এই মতবিনিমিয় সভা করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে দুই ডজনের বেশি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে হামলার পর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ধরার নাম করে সেনাবাহিনী সেখানে ধারাবাহিক হামলা-নির্যাতন অগ্নিসংযোগ শুরু করে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাজার হাজার রোহিঙ্গার ঢল নামে বাংলাদেশ মুখে। ইতোমধ্যে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

শরণার্থী শিবিরের আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুন্ড এলাকায় রোহিঙ্গাদের আটক করে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে চেকপোস্টগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেন, কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তা ঠেকাতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পুলিশের মোট ২৭টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।

সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবান থেকে পাহাড়ি ও সড়কপথে নানা কৌশলে চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে যাতে কোনভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কঠোর অবস্থান ও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ডিআইজি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অবস্থাতেই দেশের মূল ভূ-খন্ডে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তাদের যাতে ক্যাম্পেই সীমিত রাখা যায়; সে বিষয়ে পুলিশসহ প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।’

উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের মুখে গত তিন সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে করেছে সরকার।